ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ , ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

বদলে যেতে পারে ডিসিদের পদবি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০১-২০২৫ ০৩:৪০:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০১-২০২৫ ০৩:৪০:২৯ অপরাহ্ন
বদলে যেতে পারে ডিসিদের পদবি
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বেশ আলোচনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি, পদোন্নতিতে কোটা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার থেকে আলাদা রাখা নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিশন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পদবি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট করার সুপারিশ করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আরও ১৬ দিন বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করেছে সরকার। রোববার কমিশনের এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডারের পরিবর্তে ছয়টি করার সুপারিশ করার কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি সিভিল সার্ভিস থেকে ক্যাডার শব্দটি বাদ দেওয়া, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের সুপারিশ আসতে পারে। এছাড়া ডিসির পূর্ণাঙ্গ নাম ডেপুটি কমিশনারের পরিবর্তে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট করা এবং ভূমি, সিটি করপোরেশন, পাসপোর্ট, জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দরিদ্র মানুষের হয়রানি নিরসনে দেওয়া হতে পারে একগুচ্ছ সুপারিশ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

কমিশনসংশ্লিষ্টরা জানান, কমিশন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের সুপারিশ করতে পারে। এ পদ্ধতিতে দ্রব্যমূল্যের স্ফীতি ঘটলে বেতন বাড়বে আবার দ্রব্যমূল্য কমলে বেতন কমবে। প্রতিদিন সরকারি সংস্থাগুলো বাজার মনিটরিং করবে। প্রতিদিনের বাজারদর বিশ্লেষণ করে বেতন বৃদ্ধি বা কমার হার নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকার নির্ধারিত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী রোববার যুগান্তরকে বলেন, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে না। কিছু কাজ এখনো বাকি। কী থাকছে সুপারিশে এমন প্রশ্নে কমিশনপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। যা থাকবে তা প্রতিবেদন দিলেই জানতে পারবেন।

কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিভিল সার্ভিসে মোট ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। ক্যাডারগুলোর মধ্যে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। যা নিয়ে দ্বন্দ্ব ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছে। এ দ্বন্দ্ব, বাকযুদ্ধ ও লেখালেখি যে নতুন করে শুরু হয়েছে তা কিন্তু নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৬ সালে তৎকালীন ২৬ ক্যাডার (ইকোনমিক ক্যাডারসহ) ও প্রশাসন ক্যাডার প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের সংগঠন (প্রকৃচি) নানা সময়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সোচ্চার ছিল। কিন্তু বিগত সরকারগুলো আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব নিরসনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তবে প্রযুক্তি প্রসারের ফলে এখন ক্যাডারগুলোর দ্বন্দ্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্যাডারের ১০ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ